দেশজুড়ে

কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ, তিন নারী গ্রেপ্তার

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একটি মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক ও ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছেএ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল সন্দেহভাজন শেখ আলামিন পলাতক রয়েছেন।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, “বিস্ফোরণের পর আলামিন তার স্ত্রী ও সন্তানদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে সেখানে স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একাধিক টিম অভিযান শুরু করে। ঢাকা জেলা ডিবির টিমও অভিযানে যুক্ত ছিল।

পুলিশ সুপার জানান,  আলামিনের স্ত্রী আসিয়া ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকার বাসাবো এলাকা থেকে আসমানি খাতুন নামে আরেক নারীকে আটক করা হয়। পরে তাদের তিনজনকেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, শেখ আলামিনের নামে ঢাকার আশপাশের কয়েকটি জেলায় মামলা রয়েছে। তিনি ২০১৭ ও ২০২০ সালেও গ্রেফতার হন। এছাড়া আসমানি খাতুন ওরফে আসমার নামেও দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

২০২৩ সালে জামিনে মুক্তির পর আলামিন প্রথমে অটোরিকশা ও পরে উবার চালক হিসেবে কাজ করতেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে বিভিন্ন কন্টেইনারে আনুমানিক ৪০০ লিটার লিকুইড রাসায়নিক পাওয়া গেছে। কিছু কন্টেইনারে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডলেখা ছিল। ধ্বংসস্তূপের কারণে এখনও পুরো সিজার লিস্ট তৈরি করা যায়নি।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #মাদ্রাসা