বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা একটা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি। এই অস্থিরতা থেকে যে মানুষগুলো আমাদের পথ দেখাতে পারতেন, তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ছিলেন নিঃসন্দেহে অন্যতম। আমার দুঃখ হয়, তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি। যেটি তিনি আন্তরিকভাবেই দেখতে চেয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ রচিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
মওদুদ আহমদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ফখরুল বলেন, ২০১২ সালে যখন প্রায় ১৭ জন প্রথম জেলে গেলেন, তখন দেখলেন মওদুদ আহমদ দ্রুতগতিতে ডিভিশন সেলের দিকে এগোচ্ছেন। পাশে থাকা আমানউল্লাহ আমানকে কারণ জিজ্ঞসে করলে তিনি জানান, ওখানে একটা রুম আছে, রুম নাম্বার ওয়ান। উনি যতদিন জেলে থাকবেন, সেখানে লেখার কাজে উনি পুরোপুরি নিজেকে নিয়োজিত করবেন।
তিনি বলেন, ‘প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন ওই জেলে ছিলাম। দেখেছি, উনি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে লিখতে বসে যেতেন। উনি সারাদিন লিখতেন। শুধু খাওয়ার সময় একটু বেরিয়ে আসতেন’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন বিরল প্রতিভাবান মানুষ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের সাহচর্যে আসতে সক্ষম হয়েছিলাম, এই রাজনীতি করার কারণে, সেটা আমার জন্য নিঃসন্দেহে অত্যন্ত বড় সৌভাগ্যের কথা। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এবং তার বই সম্পর্কে আমি খুব বেশি আলোচনা এখানে করতে পারবো না। এ জন্য আমার দুর্বলতা স্বীকার করে নেই। বইটা পড়ার খুব বেশি সুযোগ আমার এখনো হয়নি। কিন্তু তার কাজের সঙ্গে আমি কিছুটা পরিচিত’।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক বক্তব্যে মওদূদ আহমেদের সহধর্মিণী হাসনা ওয়াদূদ বলেন, মওদুদ আহমেদ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। তিনি সংঘাত ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননি। তিনি দেশের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ রেখে গেছেন, যার উৎস দেশপ্রেম।
আই/এ