ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকে লাগানো অর্ধশত বকুলগাছ কেটে ফেলার ঘটনায় মো. আজমির হোসেনকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ থানায় একটি মামলা করে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে কুমিল্লার বেলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম। আজ রোববার তাঁকে কুমিল্লার আদালতে পাঠানোর কথা রয়েছে।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকে অর্ধশতাধিক বকুল গাছা কাটার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন হয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
গাছ কাটার বিষয়ে আজমির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, বিভাজকের গাছগুলো আবর্জনার মতো লাগে, কোনো কাজে আসে না। তাই কেটে ফেলেছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, কেটে ফেলা বকুলগাছগুলো মহাসড়কের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো হয়েছিল। প্রতিটি গাছের বয়স ছিল ৯ বছরের বেশি। কুমিল্লা সওজের কার্যসহকারী রুহুল আমিন বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় মামলাটি করেন।
জানা যায়, আজমিরের বাড়ি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাওড়াতলী গ্রামে। তবে তিনি বেলতলী এলাকায় ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শিশু হাসপাতালের ফটকের পাশে থাকেন। সেখানে চা-বিস্কুট বিক্রি করেন।
সওজ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, যেসব স্থানে গাছগুলো কাটা হয়েছে, পরে সেখানে নতুন করে গাছ রোপণ করা হবে। মহাসড়কটি ২০১৬ সালে চার লেনে রূপান্তর করার পর সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি এক লেনের গাড়ির হেডলাইটের আলো যাতে অন্য লেনের গাড়ির ওপর না পড়ে, সে জন্য বিভাজকের ওপর এসব গাছ রোপণ করা হয়েছিল।
আই/এ