জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, বিএনপি বলছে,তারা গণভোট মানে, তবে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই সঙ্গে হতে হবে। গণভোট হচ্ছে সংস্কারের জন্য আর জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে সরকার গঠনের জন্য। তারা তালের রস আর আমের রস একসাথে মেশাতে চায়। বিএনপি সব জায়গায় গিয়ে ঝামেলা সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার এলাকায় কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে জামায়াত আয়োজিত ভোটকেন্দ্র পরিচালক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ডা.তাহের বলেন, ‘ সবকিছু পর্যালোচনা শেষে সবাই একমত হয়েছি, একটি সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদকে গ্রহণ করা হবে এবং এটার ওপর একটা গণভোট হবে। গণভোটের পর যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সংসদের মাধ্যমে ২৭০ দিনে এটাকে সংবিধানে যুক্ত করা হবে। সবকিছু ঠিক, আমরাও রাজি, বিএনপিও রাজি। কিন্তু হঠাৎ করেই বিএনপি পল্টি নিয়েছে। তারা এত দিন ধরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে থেকে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের পর এখন বলছে, আমরা এটাকে মানি না। বিএনপি বর্তমানে অন্যায়ভাবে এই সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।’
তিনি বলেন, এতগুলো রাজনৈতিক দলের সময় নষ্ট করে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে সবাই যখন একটি জায়গায় পৌঁছেছে, তখনই বিএনপি সংস্কারের বিরোধিতা করছে। এটি বিএনপির দায়িত্বহীনতার পরিচয়। বিএনপি পরিকল্পিতভাবে দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, এই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরির একটি অপকৌশল অবলম্বন করেছে তারা।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার চাপের কাছে যদি নতি স্বীকার করে এবং সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে, তাহলে বুঝতে হবে এই সরকার আর নিরপেক্ষ নেই। সরকার যদি নিরপেক্ষতা হারায় এবং কোনো দলের প্রতি আনুগত্য পোষণ করে, তাহলে সেই সরকারের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে আশা করা যায় না।
আই/এ