সৌদি আরবে আটকা পড়ে বাড়ি ফিরতে না পেরে সাহায্যের আবেদন জানানো এক ভারতীয় যুবকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
১ মিনিট ৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, চারদিকে বিস্তীর্ণ মরুভূমি, তার মধ্যে উটের দড়ি হাতে এক যুবক হাঁটছেন। অসহায় কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমি বাড়ি যেতে চাই, দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন। না হলে আমি এখানে মারা যাব।”
ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলার বাসিন্দা এই যুবক অভিযোগ করেছেন, তার কফিল (নিয়োগকর্তা) পাসপোর্ট জব্দ করে রেখেছে এবং দেশে ফেরার কথা বলায় তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সৌদি আরবে ভারতীয় দূতাবাস বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
এক দিল্লিভিত্তিক আইনজীবী ভিডিওটি শেয়ার করেন। সেখানে যুবকটি ভোজপুরি ভাষায় কাঁদতে কাঁদতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমার গ্রাম আল্লাহাবাদে… কফিল আমার পাসপোর্ট রেখে দিয়েছে। আমি দেশে ফিরতে চাই বলায় আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। ভিডিওটা সবাই শেয়ার করুন, প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছাক। আমাকে বাঁচান, আমি মায়ের কাছে ফিরতে চাই।”
ইন্ডিয়া টুডে জানায়, ভিডিওটির সত্যতা এখনো যাচাই করা যায়নি। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনার পর আলোচনায় এসেছে সৌদি আরবের বহুল সমালোচিত ‘কাফালা ব্যবস্থা’, যেখানে নিয়োগকর্তারা বিদেশি শ্রমিকদের পাসপোর্ট, ভিসা ও কর্মস্থল নিয়ন্ত্রণ করতেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বহুদিন ধরে এই প্রথাকে ‘আধুনিক দাসত্ব’ বলে আসছে।
এমএ//
