ক্যাম্পাস

রাকসু নির্বাচনেও উঠে যাচ্ছে অমোচনীয় কালি

রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ব্যবহৃত অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনের ১৫০ নম্বর কক্ষে ভোটকেন্দ্রে এই অভিযোগ ওঠে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া রাকসু নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর বাইরে এসে হাতে ঘষা দেওয়ার পরপরই ব্যবহৃত অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

ভোট প্রদান শেষ জুবায়ের নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বলেছিল, তারা দেশের বাইরে থেকে কালি আমদানি করেছেন, যাতে তা উঠে না যায়। কিন্তু আমি ভোট দেওয়ার পর এক ঘষাতে কালি উঠে গেল।’

শিবির-সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী ফাহিম রেজা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছিল, তারা যে কালি ব্যবহার করবে তা উঠবে না। কিন্তু এখানে ভোট দিতে এসে এই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে অবগত করেছি।’

ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা ও পরিবেশ পরিষদের সদস্য অধ্যাপক কাওছার আলী বলেন, ‘আমরা তা শোনার পর দায়িত্বরত পুলিং এজেন্টদের নির্দেশনা দিয়েছি, তারা যেন হাতের আঙুলে কালি ৫ সেকেন্ড ধরে রাখে। পাশাপাশি ভোটার বের হওয়ার আগে যেন আবার তা চেক করে।’

এর আগে গতকাল অনুষ্ঠিত হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনেও ভোটারদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়া অভিযোগ উঠে।

এ প্রসঙ্গে চাকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দীন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, জাতীয় নির্বাচনে যে কালি ব্যবহার করা হয়, তা জার্মানি থেকে আনা হয় এবং ব্যবহারের পর তা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। আমরা চেষ্টা করেও সেই কালি সংগ্রহ করতে পারিনি। তাই নিয়মরক্ষার জন্য সাধারণ কালি ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভোটার শনাক্তের মূল মাধ্যম হলো তাদের আইডি কার্ড, ভোটার নম্বর ও তালিকায় থাকা ছবিসংবলিত তথ্য। এসব যাচাই করেই ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে, তাই একজনের জায়গায় অন্যজনের ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #রাকসু #রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় #চাকসু