ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) প্রতিদিন ৭২ হাজার শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্পেইন। প্রতিটি টিমে দুইজন ভ্যাকসিনেটর ও তিনজন স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করছেন।
রোববার (১২ অক্টোবর) ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ প্রাঙ্গণে ডিএনসিসির টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়।
ডিএনসিসির মুখপাত্র জোবায়ের হোসেন জানান, টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে আজ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১৮ কর্মদিবসে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে) মোট ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।
এর মধ্যে ২,১৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার ৭৯০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং কমিউনিটি পর্যায়ের ৬৫৬টি ইপিআই কেন্দ্রে প্রায় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৯ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ৫৪ হাজার ৬৬৮ জন, ২১টি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুলের ৫৬ হাজার ৪৬৫ জন এবং ৫১০টি মাদ্রাসার ৩ লাখ ৪ হাজার ৩১৬ জন শিক্ষার্থী টিকা পাবে। এই কার্যক্রমে প্রতিদিন ৭১২ জন ভ্যাকসিনেটর ও ৯৭২ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।
১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া হবে। এরপর ১৩ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র এবং ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্যাটেলাইট বা আউটরিচ ইপিআই কেন্দ্রে টিকাদান চলবে।
টিকা কার্যক্রমের সমন্বয় ও মনিটরিংয়ের জন্য নগর ভবন, ডিএনসিসি পর্যায়ে একটি মনিটরিং সেল এবং মাঠপর্যায়ে একটি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও অঞ্চল পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিকভাবে টিকাদান কার্যক্রম তদারকি করবেন।
এমএ//