টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলি জমি ডুবে গেছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুধকুমার, ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর দুই পাশে রোপা আমন, সবজি, মাস কালাইসহ বিভিন্ন ফসলী পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন খাল, ডোবা ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে তথ্য মতে, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১২ শত ২৭ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে রোপা আমন ৯ শত ৮৭ হেক্টর, বিভিন্ন শাক-সবজি ১ শত ৯১ হেক্টর, মাসকলাই ৪৯ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি টানা বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে সে ক্ষেত্রে এবছর রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়বে। এতে করে কৃষকরা চরম ভোগান্তি পড়ার বলেও জানায় কৃষি বিভাগ।
এদিকে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা, বারোমাসিয়া ও নীলকমল নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে, বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত। পানি বাড়লেও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বারোমাসিয়া ও নীলকমল নদীর দুতীরের রোপা আমন, শাক-সবজি, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন খাল, ডোবা ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ধরলা ও বারোমাসিয়া নদী পাড়ের বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, অসময়ে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানিতে আমাদের রোপা আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। যদি বৃষ্টি ও উজানের পানি আসা অব্যাহত থাকে তাহলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: নিলুফা ইয়াছমিন জানান, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে এ পর্যন্ত উপজেলায় মোট ২০০ হেক্টর রোপা আমনের ক্ষেত পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। অন্য দিকে শাক-সবজি ৫ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে সে ক্ষেত্রে এ বছর রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়বে। এতে করে কৃষকরা চরম ভোগান্তিতে পড়বে।
আই/এ