দেশজুড়ে

জীবনের নিরাপত্তা চান প্রবাস ফেরত পপি আক্তার

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার প্রবাস ফেরত পপি আক্তার (৩৫) জীবনের নিরাপত্তা ও ন্যায্য বিচার দাবি করেছেন। সম্প্রতি বাহরাইন থেকে দেশে ফেরার পর চাচার প্রতারণা ও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের হুমকির কারণে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।

পপি আক্তার জানান, পাকুন্দিয়ার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা মনিরাকান্দা গ্রামের মৃত সফির উদ্দিনের বড় মেয়ে তিনি। পরিবারের হাল ধরতে ৭ বছর আগে গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে বাহরাইন যান। প্রবাসে উপার্জিত প্রায় ১১ লাখ টাকা ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে প্রতিবেশী চাচা বাদল মিয়ার কাছে পাঠান তিনি।

দেশে ফিরে টাকা চাইলে বাদল মিয়া তাকে মাত্র ৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ফেরত দেন। বাকি টাকা চাইলে বাদল মিয়া ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করে। এসময় স্থানীয় বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন ওরফে ভিপি কামালের কাছে ন্যায়বিচার চাইলে তিনি সহায়তার আশ্বাস দেন।

কিন্তু পরে উলটো বিপদে পড়েন পপি। তার অভিযোগ, ভিপি কামাল মামলা নথিভুক্ত করার কথা বলে তার কাছে ২৫ হাজার টাকা ও বাদল মিয়ার কাছ থেকে বাকি টাকা আদায়ে দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। ২৫ হাজার টাকার বদলে তিনি ১৫ হাজার টাকা দিলেও দেড় লাখ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ভিপি কামাল প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে বাদল মিয়ার মাধ্যমে উলটো মামলা করান। ওই মামলায় স্বামীসহ এক মাস জেল খাটতে হয় পপিকে।

জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আবারো টাকা চাইলে ভিপি কামাল ও বাদল মিয়ার লোকজন তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন পপি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশবাসী ও সরকারের কাছে জীবনের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার কামনা করেন।

অভিযোগের বিষয়ে ভিপি কামাল বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মামলার টাকা-পয়সার ব্যাপারে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে ঘায়েল করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

অন্যদিকে বাদল মিয়া দাবি করেন, পপি আক্তার তাকে প্রবাস থেকে মোট ৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন, যা তিনি ফেরত দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #পাকুন্দিয়া