গেলো মঙ্গলবার হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে কাতারে হামলা করে ইসরাইল। তবে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি নেতারা ওই সময় নামাজে আদায় করতে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য জিউস ক্রনিকলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরব গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নামাজ আদায় করতে যাওয়ার কারণে বৈঠকস্থলে তাঁরা মুঠোফোনগুলো রেখে যান। আর এসব ফোনের সংকেত ব্যবহার করেই হামলা চালানো হয়।
হামাস নেতারা হামলার সময় মূল ভবনের (বৈঠকের স্থান) বাইরে অন্য একটি বাড়িতে ছিলেন। মূল ভবন হামলার নিশানা হওয়ায় এবং সেই সময় আলাদা স্থানে অবস্থান করায় তাঁরা বেঁচে গেছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দোহায় হামলাটি হামাসের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার বৈঠককে লক্ষ্য করে চালানো হয়। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সহসভাপতি খলিল আল-হায়া ছিলেন মূল লক্ষ্য।
পশ্চিম তীরের হামাস নেতা জাহের জাবারিন ও রাজনৈতিক দপ্তরের সদস্য নিজার আওয়াদাল্লাহও প্রাথমিকভাবে নিহত হয়েছেন বলে মনে করা হয়েছিল।
আল-হায়ার পাশাপাশি সহসভাপতি খালেদ মেশালও মূল ভবনে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁরা দুজনই জীবিত আছেন।
হামাস দাবি করেছে, তাদের কোনো নেতা নিহত হননি। তবে ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আল-হায়ার ছেলে হিমাম এবং তাঁর কার্যালয়ের পরিচালক জিহাদ লাবাদ নিহত হয়েছেন।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ প্রস্তাবিত সর্বশেষ শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা করা। টাইমস অব ইসরায়েলকে একজন অজ্ঞাত কাতারি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকের জন্য উপস্থিত নেতারা তুরস্ক থেকে দোহায় এসেছিলেন।
এনএস/