সব রেকর্ড ভেঙে বিশ্ববাজারে নতুন ইতিহাস গড়েছে স্বর্ণের দাম। আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৬০০ ডলার ছাড়ানোর পথে মূল্যবান এ ধাতুটি, যা এর আগে কখনো দেখা যায়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন ডলার দুর্বল হয়ে পড়া এবং এ মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে পারে—এমন আশঙ্কাই বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণ কেনার প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে। টানা কয়েক সপ্তাহের এই উর্ধ্বগতির পেছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে সেই আস্থাই।
ফলে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে মূল্যবান এ ধাতুটি এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামের দিকে ছুটছে।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববাজারে ৩ হাজার ৫৯০ মার্কিন ডলারে উঠেছে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার (১ ডলার সমান ১২০ টাকা ধরে)। এ হিসাবে বিশ্ববাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পৌঁছেছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫৪ টাকায়।
হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে স্বর্ণের দাম।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্বল অর্থনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত ও যুক্তরাষ্ট্রের সুদহার কমানোর সম্ভাবনা সোনাসহ মূল্যবান ধাতুর বাজার চাঙা করে তুলছে। তাদের ভাষায়, আরেকটি কারণ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ, তথা ফেডের স্বাধীনতায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে ডলারভিত্তিক সম্পদে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
সিএমই ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, ব্যবসায়ীরা এখন ধরে নিচ্ছেন, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ফেডের এক-চতুর্থাংশ পয়েন্ট সুদহার কমানোর সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, সোনায় বিনিয়োগ করে সুদ পাওয়া যায় না ঠিক, কিন্তু ফেডের সুদের হার কম থাকলে সোনার মতো সুদবিহীন সম্পদ বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে; অর্থাৎ ফেডের সুদহার কমলে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে।
সূত্র: এফএক্স স্ট্রিট
এসি//