দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ তোলার পর এবার নতুন দুটি আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। রোববার (২৪ আগস্ট) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, শনিবার (২৩ আগস্ট) এ পরীক্ষা তদারকি করেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন।
কেসিএনএ জানায়, পরীক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্র দুটি শক্তিশালী যুদ্ধক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। তবে কোথায় পরীক্ষা চালানো হয়েছে বা এ দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য কী— সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। শুধু জানানো হয়েছে, বিশেষ প্রযুক্তির ভিত্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো লক্ষ্যভেদ ও প্রতিক্রিয়ায় অত্যন্ত কার্যকর।
কেসিএনএ প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, আকাশে দ্রুতগতিতে ছুটে যাচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র। আরেকটি ছবিতে কিম জং-উনকে সামরিক কর্মকর্তার ব্রিফিং নিতে দেখা যায়, যেখানে তার টেবিলের পাশে একটি দূরবীন রাখা ছিল।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কিম প্রতিরক্ষা খাতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন, যা আগামী দলীয় বৈঠকের আগেই শেষ করতে হবে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত সপ্তাহে কয়েকজন উত্তর কোরীয় সেনা সীমান্ত অতিক্রম করলে তাদের লক্ষ্য করে সতর্কতামূলক গুলি চালানো হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, জাতিসংঘ কমান্ডের হিসেবে গত মঙ্গলবার প্রায় ৩০ জন উত্তর কোরীয় সেনা সীমান্তে প্রবেশ করেছিলেন।
এ ঘটনায় পিয়ংইয়ংয়ের গণমাধ্যম সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কো জং চোলের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, এটি ছিল ‘পরিকল্পিত ও ইচ্ছাকৃত উসকানি’।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, উত্তর কোরিয়া মূলত ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের জন্য নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করছে।
কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক হং মিন বলেন, “রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিয়ে উত্তর কোরিয়া যে শিক্ষা পেয়েছে, তার ভিত্তিতেই তারা নিজেদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।”
এসি//