সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় দশম শ্রেণীল এক স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে আবু কাছির হাসান হীরা (৩০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত আবু কাছির হাসান হীরা সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার মোজাফ্ফরপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগষ্ট) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এই কারাদন্ড প্রদান করেন।সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলার অপর আসামী নুরনবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী কিশোরী সলঙ্গা থানার একটি স্কুলে দশম শ্রেণীর ছাত্রী। ২০১৬ সালে কিশোরীর সাথে পাশের রায়গঞ্জ উপজেলার আবু কাছির হাসান হীরার মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী আসামী নুরনবীর সহায়তায় আবু কাছির হাসান হীরা কিশোরীকে বগুড়া জেলার মোমিন পার্কে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পার্কের একটি কক্ষে কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে। এভাবে বিভিন্ন সময়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে হীরা। এক পর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে কিশোরী বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
তখন হীরা বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পরে ২০১৯ সালের ১৬ জুন কিশোরী বাদী হয়ে আবু কাছির হাসান হীরা ও নুরনবীকে আসামী করে সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আবু কাছির হাসান হীরাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে আদালত। অপর আসামী নুরনবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
এদিকে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া শিশু প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ভরণ পোষনের দায়ভার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ও আসামীর বিদ্যমান সম্পদ থেকে বহন করতে হবে বলে রায়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আই/এ
