বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি মো. দেলাওয়ার হোসেন বিএনপিকে উদ্দেশ করে প্রশ্ন রেখেছেন, ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিকে আপনারা ভয় পাচ্ছেন কেন?’
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌর মিলনায়তনে এক যুবকর্মী সমাবেশে তিনি বলেন, জামায়াত এবার শুধু সংসদে আসন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং সরাসরি রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। অতীতের মতো আর কোনো দলের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটবে না জামায়াত।
দেলাওয়ার বলেন, ‘১৯৯১ থেকে শুরু করে ২০১৮ পর্যন্ত আমরা জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করেছি। কিন্তু এবার আমাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট— জনগণের ভোটে বিজয় অর্জন করে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়া।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘যে শক্তিকে জনগণ গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিতাড়িত করেছে, তাদের সঙ্গে আঁতাত করে একটি দল আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। যাদেরকে আমরা পরাজিত করেছিলাম, যাদেরকে আমরা বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছি, ভেতরে ভেতরে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে এখন ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছেন। আর আমরা চাচ্ছি তাদের বিচার। এই বিচার হলে তাদের সঙ্গে অন্যদের আঁতাত হবে না, এই আশঙ্কায় তারা বিচারও চায় না।’
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন’ হিসেবে অভিহিত করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘৩৬ দিনের রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে দেশের তরুণেরা ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছে। তারা চেয়েছিল টেন্ডারবাজমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, একটি সুন্দর বাংলাদেশ।’
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নতুন আরেক শক্তি একই ধরনের কৌশল নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে। আবারও একই পথে হাঁটার চেষ্টা চলছে।’
নির্বাচনী সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে দেলাওয়ার হোসেন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির প্রতি জামায়াতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঠাকুরগাঁও জেলা আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল হালিম। এছাড়া বক্তব্য দেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা আব্দুল হাকিম, জেলা সেক্রেটারি মো. আলমগীর হোসেন, এবং পৌর আমীর মাওলানা শামসুজ্জামান শাহ শামীম। অনুষ্ঠানে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএ//