গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন,শেখ হাসিনার সময়ে যারা সুবিধাভোগী ছিলেন, তারা এ সরকারের আমলেও সুবিধাভোগী। ড.ইউনূসের কাছে এই কি প্রত্যাশা ছিলো? হাসিনা ক্ষমতা ছাড়বেন আর তিনি ক্ষমতায় বসবেন। আর হাসিনার আমলের যে ব্যবস্থা ওই ব্যবস্থা অনুযায়ী তিনি দেশ চালাবেন। তিনি বলেন, ‘আমার তো মনে হচ্ছে ড.ইউনূস হাসিনার পরামর্শে দেশ চালাচ্ছেন’’
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট ) দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের একটি হোটেলে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং একটি সফল গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে করণীয় শীর্ষক’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, চুনোপুটিদের নয়, খুনি শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, কামাল ও শামীম ওসমানদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দড়িতে ঝোলাতে হবে। এ নিয়ে জাতি কোনো টালবাহানা সহ্য করবে না। প্রয়োজন হলে আরও ১০টি ট্রাইব্যুনাল বসাতে হবে। টাকা না থাকলে জনগণ টাকা দেবে।
এনসিপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই দলটি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। এটা আমার কথা নয়, টিআইবি প্রধান তাদের কিংস পার্টি বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাছাড়া এনসিপি সমর্থিত দুই উপদেষ্টা পদ নিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। তারপরও হাসনাত আবদুল্লাহরা ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করছেন। তাদেরও ভুল ভাঙতে বসেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক উপদেষ্টা দুর্নীতি করছেন। তারা আখের গোছাতে ব্যস্ত। ডিসি নিয়োগ থেকে শুরু করে সব কিছুতেই দুর্নীতির ছোঁয়া লেগে আছে। ১৬ বছর বিএনপি-জামায়াতের তকমা লাগানো আমলারা এখনো নির্যাতিত ও পদ বঞ্চিত হচ্ছে।
রাশেদ বলেন, যে সরকার শহীদদের তালিকা তৈরি করতে পারে না, তাদের কাছ থেকে জাতি কি আশা করতে পারে।জাতিসংঘের তদন্তে নিহতের সংখ্যা ১৪০০, কিন্তু জুলাই সনদে সংখ্যা এক হাজার করা হলো। এটা কেন এবং কীভাবে হলো?
ঝিনাইদহ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, যুব অধিকারের সভাপতি রাকিবুল হাসান রকিব প্রমুখ।
আই/এ