বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষ কথামালার রাজনীতি আর চাচ্ছে না। তারা একটি পরিবর্তন চাচ্ছে, প্রতিশ্রুতি চাচ্ছে না। বরং প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাচ্ছে। বিএনপি জনগণের জীবন মান উন্নয়নের সুনির্দিষ্টভাবে কতগুলো পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রাঙ্গণে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যুবদল আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক সমাবেশ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, শুধু জনগণের সমর্থনই প্রয়োজন নয়। একই সঙ্গে প্রয়োজন সমগ্র বাংলাদেশের জনগণের সহযোগিতা। প্রয়োজন বিএনপির প্রতি জনগণের রায়। কারণ আমরা মনে করি, জনগণের রায় বিএনপির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস।
তিনি বলেন, আগামী দিনের নীতি, জনগণের জীবন উন্নয়নের রাজনীতি, দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা—এটি হবে আমাদের রাজনীতির অন্যতম মূল লক্ষ্য। অর্থাৎ মানুষের ভোটের অধিকারকে যে রকম নিশ্চিত করা, মানুষের বাকস্বাধীনতাকে যেমন নিশ্চিত করা, একই সঙ্গে দেশের প্রত্যেকটি মানুষ যার যে যোগ্যতা, সেই হিসেবে তাকে তার অবস্থান থেকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বা স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা এবং সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিএনপির একাধিক টিম দেশের প্রতিটি সেক্টরকে নিয়ে গভীরভাবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, হেলথ কেয়ার ওয়ার্কার নিয়োগের পরিকল্পনা করেছি আমরা। এই হেলথ কেয়ার নিয়োগের ৮০ শতাংশ হবে যুবসমাজের মধ্য থেকে নারী সদস্য। তারা একদিকে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ঘটাবে, অন্যদিকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।
এসময়ে আগামী ৫ বছরে ৩০ কোটি গাছ লাগানো এবং শুধু জুলাই-আগস্ট নয়, বিগত ১৭ বছরের ত্যাগীদের বিএনপি সম্মান দেবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
আই/এ
