আইন-বিচার

জুলাই-হত্যা মামলা

আমু-দীপু-মেননসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

বায়ান্ন প্রতিবেদন

২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক সাতটি মামলায় ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এসব মামলার তদন্ত রিপোর্ট আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দাখিল করতে হবে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক ২৩ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান।

রোববার (২০ জুলাই) সকালে জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৭ মামলায় একযোগে ৩৯ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

এর আগে, রোববার (২০ জুলাই) কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ এসব মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এই ৩৯ জনসহ মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

সেদিন জুলাই-আগস্টে হত্যা-গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, জুনাইদ আহমেদ পলকসহ মোট ১৬ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ফারুক খান, দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু , কামরুল ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #দীপু মণি #আমির হোসেন আমু #জুলাই গণহত্যা