চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল আলোচিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম ড্রাইডক কর্তৃপক্ষ। এটি বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী পরিচালিত একটি সামরিক জাহাজ মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান।
রোববার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা যায়, চুক্তি শেষ হওয়ায় ১৭ বছর পর এনসিটি ছেড়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ার টেক। তবে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় সরাসরি নৌবাহিনীকে পরিচালনার দায়িত্ব না দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ড্রাইডকের সঙ্গে চুক্তি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, এনসিটিতে ড্রাইডক তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। আগের অপারেটরের সঙ্গে যেসব শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করত, তারাই এনসিটি পরিচালনার সঙ্গে থাকছে, শুধু ব্যবস্থাপনার বদল হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমানে সবচেয়ে বড় টার্মিনাল এনসিটি। প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা এই টার্মিনালে একসঙ্গে ছোট-বড় মিলিয়ে পাঁচটি জাহাজ ভেড়ানো যায়। এই টার্মিনালে চারটি জেটি রয়েছে এবং বন্দরের মোট কনটেইনারের প্রায় অর্ধেক হ্যান্ডলিং করা হয় এই টার্মিনাল দিয়ে।
এটিতে ব্যাকআপ ফ্যাসিলিটিজ হিসেবে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তি সম্বলিত ইয়ার্ড। কনটেইনার ওঠা-নামা করার জন্য রয়েছে ১৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেন। এছাড়া কনটেইনার স্থানান্তরের যত ধরণের যন্ত্র দরকার, সবই আছে টার্মিনালটিতে।
চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হ্যান্ডলিং হওয়া ৩২ লাখ টিইইউস কনটেইনারের মধ্যে ৪৪% এককভাবে পরিচালনা হয়েছে এনসিটি থেকেই।
সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমীন জানিয়েছেন, এনসিটি ছাড়লেও তাদের কার্যক্রম চুক্তি অনুযায়ী বহাল আছে সিসিটিতে। ২০০৭ সাল থেকে এনসিটি পরিচালনা করছিল সাইফ পাওয়ারটেক।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দরে চারটি কনটেইনার টার্মিনাল আছে। এগুলো হলো–চিটাগং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি), নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), জেনারেল কার্গো বার্থ (কনটেইনার ও বাল্ক-জিসিবি) এবং পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)।
আই/এ