শক্তিশালী ভূমিকম্পে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে দেড় শতাধিক নিহতের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান তারেক রহমান। শনিবার (২৯ মার্চ) ভোররাতে (রাত ২টা ৫৫ মিনিট) সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে এক পোস্টে তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

এক্স পোস্টে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘ভূমিকম্পে যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের সকল পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। বাংলাদেশের জনগণ এবং বিএনপি মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের সাথে সংহতি প্রকাশ করে এবং শিগগিরই এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করে।’
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে শুক্রবার(২৮ মার্চ) শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। এতে মিয়ানমারের পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে থাইল্যান্ডে। দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সবশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে অন্তত ১৪৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৩২ জনের বেশি। থাইল্যান্ডে অন্তত নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুই দেশেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন বহু মানুষ।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। শক্মিথালী এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের ১২ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি পরাঘাত (আফটার শক) হয়।

ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডো, মান্দালয়, সাইগাইংসহ ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির জান্তা সরকার। দেশটির জান্তা বাহিনী পরিচালিত এমআরটিভির তথ্যমতে, নিহত ১৪৪ জনের মধ্যে নেপিডোয় ৯৬ জন, সাইগাইংয়ে ১৮ জন ও মান্দালয়ে ৩০ জন রয়েছেন। ভূমিকম্পে এখনও অনেক নিখোঁজ থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এমআরটিভির খবরে বলা হয়, শক্তিশালী কম্পনে রাজধানী নেপিডো, সাইগাইং, মান্দালয়সহ পাঁচটি শহরে ভবন ধসে পড়েছে। এ ছাড়া একটি সেতু ও একটি রেলসেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এমআর//