দেশজুড়ে

ইয়াবা-কাণ্ডের জেরে র‍্যাব-১৫ এ গণবদলি

ইয়াবা উদ্ধার কম দেখানো, তথ্য গোপন এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের জেরে কক্সবাজারের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এর ১৫ ইউনিটে বড় ধরনের গণবদলি করা হয়েছে। ইউনিটের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসানসহ তিন শতাধিক সদস্যকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। তবে র‍্যাব কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি নিয়মিত বদলি কার্যক্রমের অংশ।

র‍্যাব সূত্র জানায়, ১৯ থেকে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে তিন দফায় মোট চার শতাধিক সদস্যের বদলি আদেশ দেওয়া হয়। বদলিকৃতদের বেশির ভাগই র‍্যাব–১৫–তে দায়িত্ব পালন করছিলেন। একই সঙ্গে অধিনায়ক কামরুল হাসানকে র‍্যাব সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। তাঁর স্থলে দায়িত্ব পেয়েছেন লে. কর্নেল নেয়ামুল হালিম খান।

জানা যায়, কুতুপালং ও টেকনাফে র‍্যাব–১৫–এর দুটি বিতর্কিত অভিযানই এই গণ-পদায়নের নেপথ্যে রয়েছে। গেল সেপ্টেম্বরে কুতুপালংয়ে ইয়াবা উদ্ধারের তথ্য কম দেখানো, অর্থ আত্মসাত এবং মামলায় ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

একই মাসে টেকনাফে আরেক অভিযানে এক শীর্ষ মাদককারবারির কাছ থেকে ইট ও কাঠ উদ্ধার দেখানো হয়, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। উভয় অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন অধিনায়ক কামরুল হাসান।

 

অভিযোগ যাচাই করতে র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে একটি তদন্ত দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। র‍্যাব জানিয়েছে, তদন্তে কারও বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ মিললে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন