ভূমিকম্পে নরসিংদীতে নিহত ৪, শতাধিক ভবনে ফাটল
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিলো নরসিংদীর মাধবিতে। শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে জেলায় শিশুসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো ৮ জনে। নরসিংদী সার্কিট হাউসসহ শতাধিক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শতাধিক।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন।
এতে বলা হয়, প্রাথমিক তথ্যমতে ভূমিকম্পে আতংকিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে উঁচু ভবন থেকে নামতে গিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক লোকজন আহত হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ০৪ (চার) জন নিহত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি নামক স্থানে নির্মাণাধীন ভবনের মালামাল নিচে পড়ে ৪ জন আহত হয়। এরমধ্যে মারাত্মকভাবে মাথায় আহত ২ জনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু হাফেজ ওমর (০৮ বছর) কে মৃত ঘোষণা করেন এবং তার বাবা দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
এছাড়া নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়ন এর মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজেম আলী ভূইয়া(৭৫) নামক একজন বৃদ্ধ মাটির ঘরের নিচে চাপা পড়েন এবং পরবর্তীতে তাকে জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু বরণ করেন।
জেলা প্রশাসন জানায়, উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নাসিরউদ্দিন(৬০), ভূমিকম্পের সময় ক্ষেত থেকে আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে আসার পথে রাস্তা থেকে নিচে লাফ দিয়ে পড়ে মারা যান।
শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের গআজকিতলা (পূর্বপাড়া) গ্রামের ফোরকান (৪০) ভূমিকম্পের সময় গাছ থেকে পড়ে যান। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভূমিকম্পের সময় ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সাবস্টেশনে বিপুল পরিমাণ ট্রান্সফর্মার ভেঙে পড়েছে।
ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার কারখানার ইউরিয়া প্রডাকশন ভূমিকম্পের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। কম্পনের সময় ইঞ্জিন মেশিনারিজ ভাইব্রেশনের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে মেশিনারিজ চেকিং কার্যক্রম চলছে।
ভূমিকম্প সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি ও দূর্যোগ সংশ্লিষ্ট তথ্যের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে কন্ট্রোল রুম খুলে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে খোজ খবর রাখা হচ্ছে।
আই/এ