হিমের স্পর্শে কমছে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা
পঞ্চগড়ের উত্তরের সীমান্তে শীত যেন আগেভাগেই দুয়ারে কড়া নাড়ছে। ভোরের আকাশে কুয়াশার চাদর, ক্ষেতের ধানগাছের ডগায় ঝুলে থাকা শিশির আর সকাল-সন্ধ্যায় হিমেল হাওয়ার স্পর্শ- সব মিলিয়ে জেলায় তৈরি হয়েছে শীতের কোমল কিন্তু স্পষ্ট আমেজ। দিন যত এগোচ্ছে, তাপমাত্রার সূচক ততই নিচের দিকে নামছে। চলতি মৌসুমে এখানেই ধরা পড়েছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। এর আগের দিন শুক্রবার ছিল ১৪ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার ১৩ দশমিক ৪ এবং বুধবার নেমে গিয়েছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
জেলায় সন্ধ্যার পরই হালকা শীত অনুভূত হয়, আর রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা গোটা অঞ্চলকে ঢেকে ফেলে। উত্তর দিক থেকে আসা ঠান্ডা হাওয়া শীত আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে ভোরের আলো ফুটতেই কুয়াশা ছুটে পালায়, কিছুটা উষ্ণতার ছোঁয়া মেলে। শুক্রবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি, কিন্তু সন্ধ্যার পর ঠান্ডা এতটাই টের পাওয়া গেছে যে স্থানীয়দের অনেককে শীতের পোশাক পরে বের হতে হয়েছে।
ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়েই বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন শিশু ও বয়স্করা। হাসপাতালগুলোতেও রোগীর ভিড় প্রতিদিনই বাড়ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। ভোরের ঠান্ডা বাতাস তাপমাত্রা দ্রুত নামিয়ে দেয়, তবে সূর্য ওঠার পর আবহাওয়া কিছুটা নরম হয়ে আসে। তার মতে, মাসের শেষ দিকে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এসি//