দেশজুড়ে

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফরিদপুর রণক্ষেত্র, পুলিশসহ আহত ২৫

ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলার ওয়াপদার মোড় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।  সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বোয়ালমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপি কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ওরফে ঝুনুর অনুযারীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।   উভয় নেতাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে দল এ আসনে মনোনয়ন স্থগিত রেখেছে।

স্থানীয়রা জানান, বেলা তিনটার দিকে শামসুদ্দিন মিয়ার সমর্থকরা ওয়াপদার মোড় এলাকায় এবং নাসিরুলের সমর্থকরা কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন।

বিকেল ৪টার দিকে নাসিরুলের পক্ষের মিছিল ওয়াপদার মোড়ের দিকে এগোতে থাকে। একই সময় শামসুদ্দিনের সমর্থকরা কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন। বোয়ালমারী পৌরসভার সামনে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়সংখ্যায় কম থাকায় শামসুদ্দিনের সমর্থকরা পিছু হটে স্থানীয় হারুন শপিং কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান নেন।

এ সময় স্থানীয় ইউএনও এবং পুলিশ উভয়পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থল থেকে সরে গিয়ে নাসিরুলের সমর্থকরা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থাকা শামসুদ্দিনের সমর্থকদের মোটরসাইকেলগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। শপিং কমপ্লেক্সের নিচতলায় থাকা শামসুদ্দিন মিয়ার কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। আশপাশের দোকানগুলোতেও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়।

নাসিরুলের সমর্থকদের হামলার সময় পুলিশ সদস্যরা এক কোণে অবস্থান নিয়ে আত্মরক্ষা করেন। ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও আগুন নেভাতে এসে হামলার শিকার হয়।পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে অবস্থান নিলে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভায়। এসময়েও দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।

পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন