সরকারের একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে : এনসিপি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে। এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে। তাদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আখতার বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘বিএনপির প্রার্থী তালিকা হতাশাজনক। অধিকাংশই গডফাদার। আমরা আশা করেছিলাম গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে তারা কিছু ভালো প্রার্থী দেবে। কিন্তু দেখা গেলো কৌশলে ছাত্রদল ও যুবদলসহ তরুণদের খারিজ করা হয়েছে। তাদের আমাদের দলে স্বাগত জানাই।’
তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের কোনও সুযোগ নেই। এমনটি চেষ্টা করা হলে ছাত্র সমাজ আবারও মাঠে নামবে। সনদ বাস্তবায়ন আদেশের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
আই/এ