আগের সব কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করা বাস্তবসম্মত নয় : মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, অতীতের সব প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে নতুনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা বাস্তবসম্মত নয়। বরং তাদের মধ্যে যারা অতীতে চাপ বা ভয়ের কারণে অন্যায় করেছে, তাদের এখন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ অন্তরে গণতান্ত্রিক। যখন তারা বুঝবে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, তখন এটি উৎসবমুখর একটি ঘটনার রূপ নেবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, এক দিনে সারাদেশে প্রায় ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র ও তিন লাখ বুথে নির্বাচন পরিচালনা করতে হলে অন্তত ১০ লাখ জনবল প্রয়োজন। এই জনবল সরকারের প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় আসে। ফলে এই বিশাল কাঠামো নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে কি না, তা এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
তিনি বলেন, বিএনপি আগেই নির্বাচনি সংস্কার সংক্রান্ত তাদের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে। সেই প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নিয়ে কমিশন যদি সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে, তাহলে আসন্ন নির্বাচন হবে দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
সংসদ নির্বাচনে বিএনপি কারো সঙ্গে জোট করবে কিনা জানতে চাইলে মঈন খান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোঅলিশন একটি স্বীকৃত পন্থা। এটা শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বেই এই প্রক্রিয়া চালু আছে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা এখনও ওপেন রয়েছি। আমরা সময়মত এই সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করবো।’
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেকেই যে ভয়টা পাচ্ছি যে নির্বাচনের দিনে বিশৃঙ্খলা হবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্ষতি হবে। আমি বিশ্বাস করি যে নির্বাচন একটি উৎসবমুখর একটা কর্মকাণ্ডে পরিণত হবে এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আমরা যে আশঙ্কা করছি সে আশঙ্কা থাকবে না।’
গণভোট প্রসঙ্গে এ বিএনপি নেতা বলেন, সাধারণ নির্বাচন হবে সেইদিনেই তারা গণভোট চান।
প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং সাবেক অতিরিক্ত সচিব ডক্টর মোহাম্মদ জকরিয়া, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
আই/এ