আইয়ুব বাচ্চুর প্রয়াণের সাত বছর আজ
‘রুপালি গিটার ফেলে একদিন চলে যাবো দূরে’—গানের সেই ভবিষ্যদ্বাণীই যেন সত্যি হয়ে গিয়েছিল ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর। ঠিক এই দিনেই চিরতরে থেমে যায় বাংলা ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর জীবন। আজ তার প্রয়াণের সাত বছর।
সেদিনের সকালটা ছিল অন্য রকম। ভোরের নরম আলোয় ছড়িয়ে পড়েছিল এক অজানা নিস্তব্ধতা। খবর আসে 'আইয়ুব বাচ্চু আর নেই'। মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে যায় দেশজুড়ে সংগীতপ্রেমীরা। অফিস, ক্যাম্পাস, চায়ের দোকান সবখানে একটাই কথা ঘুরপাক খাচ্ছিল, 'আইয়ুব বাচ্চু মারা গেছেন'।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, বাস্তব থেকে ভার্চুয়াল সবখানে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। হাসপাতালের সামনে ভিড় জমেছিল শত শত ভক্তের; কেউ চোখের পানি মুছতে পারছিল না, কেউ নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে ছিল গিটার হাতে প্রিয় শিল্পীর শেষ যাত্রা দেখতে।
৫৬ বছর বয়সে শেষ হয় তার জীবনের পথচলা, কিন্তু শেষ হয়নি তার গান। ‘সেই তুমি’, ‘ফেরারি মন’, ‘এক আকাশে তারা’, ‘আমি বারো মাস’ কিংবা ‘রুপালি গিটার’—প্রতিটি গানে আজও বেঁচে আছেন তিনি। তার কণ্ঠ, তার গিটারের ঝংকার আজও যেন অনুরণিত হয় ভক্তদের মনে।
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতকে যিনি বিশ্বমঞ্চে পরিচিত করেছিলেন, সেই আইয়ুব বাচ্চু আজও অনুপ্রেরণা তরুণ সংগীতশিল্পীদের কাছে। তার সৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজও লাখো ভক্ত সামাজিক মাধ্যমে স্মরণ করছেন প্রিয় ‘আইয়ুব বাচ্চুকে’।
আজ দিনটি পারিবারিকভাবে পালন করবে আইয়ুব বাচ্চুর পরিবার। তবে ভক্তদের কাছে এই দিনটা শুধু শোক নয়, বরং এক কিংবদন্তিকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় ফিরে দেখার দিন। রুপালি গিটারের সেই জাদুকর নেই, তবু তার সুর আজও ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের তারে।
এমএ//