সমাবেশে পদদলিত হয়ে নিহতের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থালাপাতির
দক্ষিণী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ও রাজনৈতিক নেতা থালাপাতি বিজয়ের সমাবেশে পদদলিত হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) করুরে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে অন্তত ৪০ জন প্রাণ হারান এবং আহত হন প্রায় ১০০ জন। এ ঘটনার পেছনে ক্ষমতাসীন দল দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগমের (ডিএমকে) ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজয়ের দল তামিলগা ভেট্রি কাজগাম (টিভিকে)।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, টিভিকে মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন করেছে, যেন আদালত হয় একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করে অথবা সিবিআইকে দায়িত্ব দিয়ে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে।
দলের আইন শাখার রাজ্য সমন্বয়ক অরিভাঝাগন বলেন, করুরের ঘটনায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তাই রাজ্য পুলিশের পরিবর্তে স্বাধীন তদন্ত প্রয়োজন। আগামীকাল (সোমবার) তারা বিষয়টি মাদুরাই বেঞ্চে উত্থাপন করবেন।
অরিভাঝাগন দাবি করেন, তাদের কাছে স্থানীয়দের তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে, যা প্রমাণ করে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
‘টিভিকে সমাবেশে নিরাপত্তা বিধি ভঙ্গ করেছে’ রাজ্য সরকারের এমন অভিযোগ খারিজ করে দেন অরিভাঝাগন।
তিনি বলেন, গেল কয়েক মাসে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জেলায় টিভিকে সমাবেশ করেছে, কোনো সমস্যাই হয়নি। তাহলে শুধু করুরেই কেন এমন ঘটনা ঘটল, সেটাই বড় প্রশ্ন।
এদিকে, ডিএমকে আনুষ্ঠানিকভাবে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মন্তব্য না করলেও দলের মুখপাত্র ড. সৈয়দ হাফিজুল্লাহ বলেছেন, তারা বিষয়টিকে রাজনৈতিক রূপ দিতে চান না। আইন নিজ পথে এগোবে। অভিযোগকারীদের আগে নিজেদের নেতাদের আচরণ খতিয়ে দেখা উচিত।
রাজ্য সরকারের দাবি, করুরের মাঠটির ধারণক্ষমতা ছিল মাত্র ১০ হাজার হলেও সেখানে ভিড় হয় প্রায় ২৭ হাজার মানুষের। বিজয় মঞ্চে পৌঁছাতে দেরি করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
তবে টিভিকে জানায়, বিলম্ব তাদের কারণে হয়নি, যানজটের কারণে নেতারা দেরিতে পৌঁছেছেন।
এ ঘটনায় সরকার টিভিকে-র সাধারণ সম্পাদক এন আনন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মলকুমার এবং করুর পশ্চিম জেলার সম্পাদক ভি.পি. মথিয়াঝাগনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক হত্যার মামলা দায়ের করেছে। পাশাপাশি একজন অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্ট বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
এমএ//