উচ্ছেদ অভিযানে দখলদারদের বাধায় পুলিশ আহত, আটক ৩
কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর কস্তরাঘাট মোহনায় দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কথিত জমির মালিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে ঘটনাস্থলে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উচ্চাদলতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ খান বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, জমির মালিকানা দাবিদার কয়েকজন পুলিশের দিকে ইট ছুড়লে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের মধ্যে আব্দুর রহিম নামের একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ওসি ইলিয়াছ খান জানিয়েছেন, সরকারি উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মোট ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্য আব্দুর রহিম বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি সিন্ডিকেট বাঁকখালী নদীর ভরাট অংশ দখল করে লাখ লাখ টাকায় প্লট বিক্রি করেছিল। সেই জমিতে ইতোমধ্যেই গড়ে উঠেছে বহুতল ভবনসহ শত শত স্থাপনা। এর ফলে নৌবন্দর স্থাপনের জমি বেদখল হয়েছে এবং নদীর স্রোত সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
মামলার জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। তবে সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টার সক্রিয় ভূমিকায় এই অভিযান শুরু হয়।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, বাঁকখালী নদী দখল উচ্ছেদ অবশ্যই করতে হবে, কিন্তু সেটা আইনের ভেতরে থেকে হতে হবে। তাদের প্রশ্ন, যাদের বৈধ খতিয়ান রয়েছে তাদের উচ্ছেদ কি আইনসম্মত? আদালতের রায়ের সার্টিফাইড কপি ছাড়া উচ্ছেদ করলে তা আইনি জটিলতা সৃষ্টি করবে এবং অভিযানের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
আই/এ