বিনোদন

কসম খেয়ে বলছি সচেতন অবস্থায় কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক করিনি: মেঘনা আলম

চলতি বছরের ৯ এপ্রিল রাত। রাজধানীর নিজ বাসা থেকে মডেল ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট মেঘনা আলমকে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে তাকে ঘিরে তৈরি হয় আলোচনার ঝড়।

পরদিন, ১০ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য আটক রাখার আদেশ দেয় আদালত। তবে তখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি, যা জনমনে প্রশ্ন এবং সমালোচনার জন্ম দেয়।

পরে, আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেঘনা আলমকে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। প্রায় তিন সপ্তাহ পর, ২৮ এপ্রিল তিনি জামিনে মুক্তি পান।

এদিকে, তাকে চরিত্রহীন বা লম্পট প্রমাণের যেকোনো অপচেষ্টা চলছে তা বন্ধ হোক বলে আহ্বান জানিয়েছেন মডেল মেঘনা আলম। সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এমন আহ্বান করেছেন তিনি। একইসঙ্গে ওই পোস্টে নিজেকে কুমারী দাবি করেছেন ২০২০ সালের মিস আর্থ বাংলাদেশ। 

রোববার (৩১ আগস্ট) এক ফেসবুক পোস্টে মেঘনা আলম বলেন, আল-কোরআন আল্লাহর সর্বশেষ বাণী। আজ আদালতে আমি শপথ করেছি সেই কোরআন হাতে নিয়ে যেটি আমাকে উপহার দিয়েছিল ঈসা, আরেকটি যেটি সৌদি বাদশাহ কর্তৃক মুদ্রিত ও সৌদি দূতাবাসের সরকারি অনুষ্ঠানে বিতরণকৃত। আমি আল-কোরআনের ওপর হাত রেখে ঘোষণা করেছি, আমার জীবনে আমি কখনো কারও সাথে যৌন সম্পর্ক করিনি, এমনকি ঈসার সাথেও নয়। আমাকে চরিত্রহীন বা লম্পট প্রমাণের যেকোনো অপচেষ্টা বন্ধ হোক।

তিনি বলেন, আমাদের সমাজে মানুষ প্রায়ই ভুল করে, দাড়ি-জুব্বা-বোরকা দেখলেই মনে করে সেটিই পবিত্রতার প্রতীক, আর কোনো নারী খোলামেলা পোশাক পরলেই ধরে নেয় সে সহজলভ্য। কিন্তু বাহ্যিক চেহারা দিয়ে অন্তর বোঝা যায় না…আমি কোরআনের কসম খেয়ে বলছি, আমি কখনো সচেতন অবস্থায় কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করিনি। আজ পর্যন্ত আমি কুমারী। 

মেঘনা আলম বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতাধর কারও সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দেয়ার কারণে আমাকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে হয়রানি করা বন্ধ হোক। ইতিহাসে বারবার নারীকেই অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়, অথচ পুরুষ থেকে যায় প্রশ্নহীন, নিরাপদ ও অব্যাহতি-প্রাপ্ত।

 

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন