বিনোদন

টিকটকে আবেদনময়ী তরুণী, গ্রেপ্তারে বেরিয়ে এলো চমক!

ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেটের দুনিয়া আজকাল চমক আর ভেলকিতে ভরা। কেউ নাচে, কেউ গানে মাতায়, আবার কেউ নিজের পরিচয়ই বদলে দেয় কেবল একটু বেশি ভিউ আর ফলোয়ারের আশায়! এমনই এক অদ্ভুত গল্প এখন ভাইরাল—টিকটকে 'ইয়াসমিন' নামে পরিচিত এক তরুণী, যার রহস্যময় রূপ আর অঙ্গভঙ্গিতে মুগ্ধ ছিল হাজারো দর্শক। কিন্তু অবশেষে ফাঁস হয়ে গেলো আসল পরিচয়—‘ইয়াসমিন’ আসলে একজন ১৮ বছর বয়সী ছেলে, নাম আবদুল রহমান!

সম্প্রতি মিশরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আবদুল রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগ—তিনি নারী সেজে ভিডিও বানিয়ে টিকটকে প্রচার করছিলেন, যা একদিকে অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত, অন্যদিকে ছিল সম্পূর্ণ ছদ্মবেশ ও প্রতারণা।

আবদুল রহমান জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তিনি ইচ্ছেকৃতভাবেই নারী সেজে ভিডিও বানাতেন, যাতে দ্রুত ভিউ বাড়ে, ফলোয়ার আসে এবং বিজ্ঞাপন থেকে আয় হয়। তরুণীর সাজে নাচ, রিঅ্যাকশন ভিডিও বা ট্রেন্ডিং চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

অনেকেই হয়তো ভাবছিলেন, 'ইয়াসমিন' হঠাৎ এত আলোচনায় কেন? মূলত, প্ল্যাটফর্মটিতে আপলোড হওয়া কিছু অনুপযুক্ত ভিডিও নজরে আসতেই পুলিশ তদন্তে নামে। তখনই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য।

আবদুল রহমানের বিরুদ্ধে “ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রতারণা” ও “সাধারণ মানুষের নৈতিকতা ক্ষুণ্ণ করার” অভিযোগ আনা হয়। তদন্তের অংশ হিসেবে তার মোবাইল ফোনসহ সব অনলাইন অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। চারদিন হেফাজতে থাকার পর পাঁচ হাজার মিশরীয় পাউন্ড (প্রায় ১৮ হাজার টাকা) জামিনে মুক্তি পান তিনি।

যখন তার পরিচয় প্রকাশ পেল, তখন অনেকেই বিস্মিত।

এক প্রতিবেশী জানান, “আমরা সবসময় তাকে একজন শান্ত স্বভাবের সাধারণ ছেলে হিসেবেই চিনতাম। কখনো বুঝতেই পারিনি সে টিকটকে এই ধরনের ভিডিও বানায়!”

এই ঘটনা সামনে আসতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। কেউ বলছেন, 'ভিউয়ের পেছনে পাগলামী', কেউ আবার এটিকে দেখছেন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নজর কাড়ার চাপের প্রতিফলন হিসেবে।

সূত্র: বোল নিউজ

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন