‘কুকুরের মাংস খেয়ে ঘেউ ঘেউ করছিল আফ্রিদি’
ক্রিকেটের মাঠে ভারত-পাকিস্তানকে ‘চিরশত্রু’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন ধরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ থাকলেও, বিভিন্ন টুর্নামেন্টে একে অপরের মুখোমুখি হয় এই দুই এশিয়ার পরাশক্তি। মাঠের ক্রিকেটের মতো মাঠের বাইরে কথার লড়াইও কম হয় না—সাবেক ক্রিকেটার থেকে সমর্থকরা দুই দেশের মধ্যে উত্তাপ বাড়িয়ে দেন।
আসন্ন এশিয়া কাপকে সামনে রেখে এই দ্বৈরথ আরও চরম আকার ধারণ করছে। ঠিক সেই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক অনুষ্ঠানের ঘটনা সামনে এনেছেন ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান। সম্প্রতি লাল্লানটপকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি উল্লেখ করেছেন, আফ্রিদি একবার কুকুরের মাংস খেয়েছিলেন।
ইরফান জানান, ২০০৬ সালের সফরে করাচি থেকে লাহোর যাচ্ছিলেন। একই ফ্লাইটে ছিলেন দুই দল। আফ্রিদি তখন তার কাছে এসে হাত দিয়ে চুল এলোমেলো করে বলেছিল, “কেমন আছো বাবু? তুমি আমার বাপ হলে কবে থেকে…!!!” যদিও নিজেই বাচ্চার মতো আচরণ করছিল। ইরফান বলেন, “সে তো আমার বন্ধু নয়! কিছু কিছু অপমানজনক কথাও বলছিল।”
সেই সময় ইরফানের পাশে বসেছিলেন পাকিস্তানের আব্দুল রাজ্জাক। ইরফান জানতে চাইলেন, পাকিস্তানে কোন ধরনের মাংস পাওয়া যায়। রাজ্জাক নানা ধরনের মাংসের কথা জানালেন। তখন ইরফান জানতে চাইলেন, কুকুরের মাংস পাওয়া যায় কি না। রাজ্জাক অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, “এটা বলছো কেন?”
ইরফান তখন বলেছিলেন, ‘সে (আফ্রিদি) তো কুকুরের মাংস খেয়েছে, এজন্য এতক্ষণ ধরে শুধু ঘেউ ঘেউ করছে। এ কথা শুনে আফ্রিদি পুরো ফ্লাইটে আর কিছু বলেননি। সে যদি তখন কিছু বলত, আমি আবার বলতাম, ‘দেখো, আবার ঘেউ ঘেউ শুরু করেছে।’ কিন্তু সে পুরো ফ্লাইটে আর কথা বলেনি।’
ইরফান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ২০০৩ সালে, অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে। ২০০৪ সালে ওয়ানডে এবং ২০০৬ সালে ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতেও অভিষেক হয় এই বাঁহাতি পেসার অলরাউন্ডারের।
২০১২ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে ২৯টি টেস্ট, ১২০টি ওয়ানডে এবং ২৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২,৮২১ রান করেছেন এবং ৩০১ উইকেট নিয়েছেন।
নয় বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৬ ম্যাচে ৬৭ উইকেট নিয়েছেন। ব্যাট হাতে সংগ্রহ করেছেন ৮০৭ রান। তবে পাকিস্তান সফরে বেশি খেলার সুযোগ পাননি। ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ১৬ ম্যাচে ৩৩৯ রান ও ৪০ উইকেট করেছেন।