দেশজুড়ে

ভারী বৃষ্টিতে সড়ক ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ভোগান্তিতে শতাধিক পরিবার

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে টানা ভারী বৃষ্টিতে গ্রামীণ সড়কের প্রায় ২৫ ফুট অংশ ধসে গিয়ে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এর ফলে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা, ফকিরপাড়া, পূর্বফুলমতি ও পাশের গজেরকুটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবারের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, কুরুষা ফেরুষা ও ফকিরপাড়া এলাকা হয়ে বালারহাট বাজারে যাওয়ার সড়কটি ধসে পড়ে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে জরুরি প্রয়োজনে স্থানীয়দের দেড় থেকে দুই কিলোমিটার ঘুরে ফুলবাড়ী সদরে যেতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি ভাঙনের ঝুঁকিতে ছিল, তবে মেরামতের জন্য বারবার অনুরোধ জানালেও কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই বছর আগে প্রথমে সড়কের একটি অংশ বৃষ্টিতে ভেঙে গেলে তারা জনপ্রতিনিধিদের জানালেও কাজ হয়নি। পরে কয়েকজন মিলে বালু ফেলে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু গত এক বছরে বারবার ভাঙন দেখা দেয় এবং এবার টানা বৃষ্টিতে পুরো সড়ক ধসে পড়ায় সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এখন শুধু হেঁটে ঝুঁকির মধ্যে পারাপার করতে হচ্ছে।

ফকিরপাড়ার বাসিন্দা আবুল খন্দকার ও মানিক মিয়া বলেন, ‘এখন যে অবস্থা, তাতে বালারহাট বা ফুলবাড়ী সদরে যেতে আমাদের দ্বিগুণ পথ ঘুরতে হচ্ছে। আগে কিছুটা কষ্ট হলেও যাতায়াত সম্ভব ছিল, এখন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।’

চিকিৎসক মিটুন চন্দ্র রায় বলেন, ‘সড়কটি অনেক দিন ধরেই বেহাল অবস্থায় ছিল। বারবার জানিয়েও কোনো ব্যবস্থা হয়নি। এই পথে চলতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনায় পড়েছে। এখন পুরো রাস্তা ধসে যাওয়ায় আমরা দেড় কিলোমিটার ঘুরে বাজারে যেতে বাধ্য হচ্ছি।’

গজেরকুটি গ্রামের মনজুরুল ও বাদশা মিয়া জানান, বর্ষা মৌসুমে তাদের তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাই তারা সাধারণত কুরুষা ফেরুষা-ফকিরপাড়া হয়ে বাজারে যেতেন। কিন্তু এই সড়কও ভেঙে যাওয়ায় এখন তাদের ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসেন আলী বলেন, ‘বর্তমানে কোনো বরাদ্দ নেই। তবুও সড়কটি দ্রুত পরিদর্শন করে মেরামতের চেষ্টা করব।’ 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে ভেঙে যাওয়া সড়কটি মেরামত করার আশ্বাস দেন।

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন