পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ড
গাজীপুরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে। এ ঘটনায় প্রকাশিত সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তিকে সন্ত্রাসীদের ধাওয়ার ভিডিও ধারণ করায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তুহিনকে। ধাওয়ার শিকার ব্যক্তি এক নারীকে চড়থাপ্পড় মারছিলেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণ ওই ভিডিও ধারণের জন্য তাকে হত্যা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ব্যস্ততম এলাকা চান্দনা চৌরাস্তা মোড়ের ঈদগাহ মার্কেটে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার আগমুহূর্তের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করে। পেছন থেকে সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করছিলেন তুহিন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই দৃশ্য ধারণ করায় তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে নারীটির সঙ্গে ধাওয়া করা ব্যক্তির বিবাদ হয়, তার নাম বাদশা মিয়া। আর ওই নারীর নাম গোলাপী। সে অনৈতিক কাজে জড়িত। মানুষের সঙ্গে কৌশলে সম্পর্ক তৈরি করে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে সব লুটে নেয়। এটি কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা নয়। নারীঘটিত একটি ঘটনা। ভিডিও চিত্র ধারণ করার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা তুহিনকে কুপিয়ে খুন করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও তুহিনের বন্ধু শামিম বলেন, ‘আমরা এক সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি এক নারী এক ব্যক্তিকে নাজেহাল করছেন। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি সেই নারীকে আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গে আগে থেকে প্রস্তুত থাকা কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই ব্যক্তিকে আঘাত করতে শুরু করে। ওই ব্যক্তি কোনোরকমমে দৌড়ে পালিয়ে যান। সাংবাদিক তুহিন ঘটনাটি দেখে ভিডিও করা শুরু করেন। দুর্বৃত্তরা তা দেখে তাকে ধাওয়া দেয়। তুহিন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু ওরা তাকে ধরে ফেলে। এরপর সবার সামনে তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়’।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান জানিয়েছেন,তুহিনকে হত্যার ঘটনায় শুক্রবার মামলা হয়েছে। তুহিনের ভাই সেলিম মিয়া বাদী হয়ে ২৫ থেকে ২৬ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন।
আই/এ