আন্তর্জাতিক

ইউএসএআইডির সহায়তা বন্ধ, ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা

ট্রাম্প প্রশাসনের বৈদেশিক সহায়তা প্রায় বন্ধ করে দেওয়ায় আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই শিশু। বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই ভয়াবহ ভবিষ্যৎ-চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি একসময় বিশ্বের মানবিক সহায়তা তহবিলের বড় একটি অংশ, প্রায় ৪০ শতাংশ, এককভাবে সরবরাহ করত। তবে চলতি বছরের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিস্থিতির মোড় ঘুরে যায়। তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক দিনের মধ্যেই ইউএসএআইডি বন্ধের ঘোষণা দেন।

গবেষণার সহ-লেখক ও বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের (আইএসগ্লোবাল) গবেষক ডেভিড রাসেল্লা সতর্ক করেন, অর্থনৈতিক সহায়তা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে গত দুই দশকে স্বাস্থ্যসেবায় যে অগ্রগতি হয়েছিল, তা ধ্বংসের মুখে পড়বে। তিনি এটিকে "নীরব মহামারির" সঙ্গে তুলনা করেন।

১৩৩টি দেশের তথ্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে গবেষকরা জানান, ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ইউএসএআইডির সহায়তায় অন্তত ৯ কোটি ১০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হয়েছিল।

কিন্তু ২০২৫ সালের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সহায়তা বাজেট ৮০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। গবেষকরা মডেলিংয়ের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন। এর মধ্যে পাঁচ বছরের নিচের বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ।

গবেষকরা সতর্ক করে বলেন, এই মৃত্যুর সংখ্যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তুলনীয়, যেখানে চার বছরে প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় এক কোটি মানুষ। 

খবর: বিবিসি

 

এমএ//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন