আন্তর্জাতিক

ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ কূটনৈতিক উত্তেজনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতিকে ঘিরে ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক ও নীতিগত বিতর্ক শুরু হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির জ্যেষ্ঠ এমপি ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রযুক্তি বিষয়ক সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান চি অনভুরাহ মনে করছেন, এই নিষেধাজ্ঞা মূলত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ডিজিটাল অধিকারকে দমন করার একটি নজির তৈরি করছে।

ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যক্তিরা হলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ বাজার বিষয়ক সাবেক কমিশনার ও ফ্রান্সের নাগরিক থেরি বোতোঁ, যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট- এর প্রধান নির্বাহী ইমরান আহমেদ, গ্লোবাল ডিসইনফরমেশন ইনডেক্স (জিডিআই) এর প্রধান ক্লেয়ার মেলফোর্ড এবং জার্মান সংগঠন হেটএইডের জোসেফিন ব্যালন ও আনা-লেনা ফন হোডেনবার্গ।

ভিসা নিষেধাজ্ঞায় আরোপিত সবাই ডিজিটাল হেট স্পিচ, ভুয়া তথ্য (ডিসইনফরমেশন) এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জবাবদিহিতা নিয়ে কাজ করা পরিচিত ব্যক্তিত্ব ও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশ সীমিত করার নীতি বা কার্যক্রমে ভূমিকা রেখেছে। তবে সমালোচকদের মতে, তারা বরং অনলাইন সহিংসতা, ঘৃণা ও ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় কাজ করছিলেন।

চি অনভুরাহ বলেন, এ ধরনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চলাচলের স্বাধীনতাই সীমিত করে না, বরং আন্তর্জাতিক পরিসরে বাক্‌স্বাধীনতা, গবেষণা ও নীতিনির্ধারণমূলক আলোচনায় একটি ভীতিকর বার্তা পাঠায়। তার মতে, গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে এ ধরনের একতরফা পদক্ষেপ ভবিষ্যতে ডিজিটাল অধিকার ও মুক্ত মতপ্রকাশ রক্ষার যৌথ প্রচেষ্টাকে দুর্বল করতে পারে।

এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হচ্ছে, অনলাইন বাক্‌স্বাধীনতা, ঘৃণা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য নিয়ন্ত্রণএই তিনটি বিষয়ের ভারসাম্য রক্ষা এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে একটি বড় কূটনৈতিক ও আদর্শিক ইস্যুতে পরিণত হচ্ছে।

 

এসএইচ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #ভিসা নিষেধাজ্ঞা #যুক্তরাষ্ট্রে #যুক্তরাজ্যে #রাজনৈতিক ও নীতিগত বিতর্ক