দেশজুড়ে

যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক ১০ জন

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং পরে মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। র‍্যাব-১৪ ও জেলা পুলিশের পৃথক অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লিমন সরকার (১৯), তারেক হোসেন (১৯), মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮), মিরাজ হোসেন আকন (৪৬), আজমল হাসান সগীর (২৬), শাহিন মিয়া (১৯) ও নাজমুল (২১)।

পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকায় অবস্থিত ‘পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড’ কারখানায় কর্মরত দিপু চন্দ্র দাস (২৮)-কে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একদল লোক মারধর করে। পরে তাকে হত্যা করে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে অর্ধদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, এটি কোনো ধর্মীয় ইস্যু নয়; বরং কারখানার উৎপাদন সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই পরিকল্পিতভাবে দিপুকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের বাবা রবি চন্দ্র দাস ও বোন চম্পা দাস বলেন, দিপু শিক্ষিত ও সচেতন ছিল এবং এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, “আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেন নিহত দিপুকে পুলিশের কাছে না দিয়ে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হলো—তা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, গেল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় জামিরদিয়া পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানির শ্রমিক দিপুকে (২৮) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ গাছের ডালের সঙ্গে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

পরদিন শুক্রবার নিহতের ভাই বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করা হয়।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #ভালুকা #ময়মনসিংহ #হত্যা #পিটিয়ে হত্যা