ভোরের আলো ফুটে উঠতেই হাড়কাঁপানো ঠান্ডা যেন চামড়া ভেদ করে ঢুকে পড়ছে। কোথাও নেই ঘন কুয়াশার দেয়াল, শুধু হালকা সাদা আস্তরণ—রাস্তার গাছে, মাঠের ধানগাছের ডগায়, শহরের বারান্দায়। আর আকাশ? রোদ ঝলমলে, চোখ ধাঁধানো। কিন্তু সেই রোদও শীতের সামনে হার মেনেছে।
সারাদেশে গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রার নাচানাচি চলছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। একদিন ওপরে, একদিন নিচে—কিন্তু শীতের চাপ একই রয়ে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সামনে রাতের ও দিনের তাপমাত্রা আরও একটু নামতে পারে। অর্থাৎ যে শীত এখন গায়ে ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছে… খুব শিগগির সেটা দাঁতে দাঁত লাগিয়ে দেবে ঠান্ডা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে—উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় এখন পশ্চিমবঙ্গের ওপর ভর করে আছে। আর স্বাভাবিক লঘুচাপ নেমে গেছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে, যার বর্ধিত অংশ উঠে এসেছে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। এই দুই ব্যবস্থার টানাপড়েনেই তৈরি হয়েছে শুকনো, ঠান্ডা পরিবেশ।
পূর্বাভাস বলছে—
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা, আবহাওয়া শুষ্ক। ভোরে হালকা কুয়াশা দেখা যেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও দিনেরটা থাকছে প্রায় এক অবস্থায়। শুক্রবারও (১৯ ডিসেম্বর) একই ছবি—ভোরের কুয়াশা, শুষ্ক হাওয়া, স্থির তাপমাত্রা।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এখানেই বদলের ইঙ্গিত—রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে।
রোববার ও সোমবার (২১–২২ ডিসেম্বর) আবহাওয়া থাকবে শুকনো, আকাশে আংশিক মেঘ। তাপমাত্রায় বিশেষ পরিবর্তন নেই।
তবে পুরো ৫ দিনের শেষে যে বার্তা উঠে এসেছে—দেশ আরও ঠান্ডা নামার দিকে এগোচ্ছে।
একদিকে রোদের আলো ছড়ানো উজ্জ্বল সকাল, অন্যদিকে শরীরকে কাঁপিয়ে দেওয়া ঠান্ডা হাওয়া। এই টানাপড়েনেই চলছে ডিসেম্বর। সামনে জানুয়ারি—আরও কঠিন পর্ব। শীতের গল্প এখনো অনেক বাকি।
এসি//