বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, একটি দল একাত্তরে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করলেও এখন জনগণের কাছে ভোট চায়। তারা একবারের জন্য নিজেদের যাচাইয়ের আহ্বান জানালেও জনগণ ১৯৭১ সালেই তাদের দেখেছেন। তখন তারা গণহত্যার পাশাপাশি মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে দেশ গড়ার পরিকল্পনা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘এখন আবার বিভিন্ন জিনিসের টিকিট বিক্রি করছে। আমরা মনে করি, যা আমার হাতে নেই তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া স্পষ্ট শিরক। মুসলিম হিসেবে বিশ্বাস সব কিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ। কাজেই সীমাবদ্ধতার মধ্যে যা করতে পারবো সে কমিটমেন্টই দিতে পারবো। আমরা এ কালে কী করতে পারবো, শুধু তা বলতে পারবো। যারা বেহেশতের টিকিট বা অন্য কিছুর কথা বলছে, তাদের বিষয়ে জনগণকে বোঝাতে হবে’।
নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলে এসব ষড়যন্ত্র বানচাল হয়ে যাবে। দেশকে সামনে নিয়ে যেতে হলে সবাইকে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিল তখন দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির সরকার ধীরে ধীরে দুর্নীতি কমিয়ে এনেছে। এখন কোনও কোনও দল বিএনপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেও ২০০১ সালে জোটের সঙ্গে তাদের দুই জন মন্ত্রী ছিল। তারা সরকারের শেষ দিন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে ছিল। সত্যিকার অর্থে আমরা দুর্নীতি করলে শেষ দিন পর্যন্ত তারা বিএনপির সঙ্গে থাকাৎ না। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা চালালেও বর্তমান নিরপেক্ষ আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা সিঙ্গাপুর নয়, স্বাবলম্বী বাংলাদেশ চাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছি, এখনও দলের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে মানুষের দোরগোড়ায় যেতে হবে’।
এর আগে সকালে সকালে ৭ দিনব্যাপী কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
আই/এ