বিগত ৬–৭ মাস ধরেই স্বর্ণের বাজার যেন ঢেউ খেলানো সমুদ্রে দুলছে—একদিন বাড়ছে, পরদিনই আবার কমছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলাতে গিয়ে চলতি বছরই ইতোমধ্যে ৮৩ বার স্বর্ণের দাম পরিবর্তন করতে হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন ডলারের দুর্বলতা আর যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানো নিয়ে অনিশ্চয়তাই এই অস্থিরতার মূল কারণ।
এমন পরিস্থিতিতে দাম বাড়ার ২৪ ঘণ্টাও পেরোয়নি—এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে আবার স্বর্ণের দর নিচের দিকে।
শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের স্পট মার্কেটে আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ২২৫ ডলার থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৯৭ দশমিক ৮৭ ডলারে।
দেশের বাজারে অবশ্য বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) ঘোষণার পর এখনো নতুন কোনো সমন্বয় আসেনি। সর্বশেষ বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ভরিতে ১,০৫০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা।
বর্তমান নির্ধারিত দরে বাজারে স্বর্ণের মূল্য হচ্ছে—
২২ ক্যারেট প্রতি ভরি: ২,১১,০৯৫ টাকা
২১ ক্যারেট প্রতি ভরি: ২,০১,৪৯৬ টাকা
১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি: ১,৭২,৭০৯ টাকা
সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ প্রতি ভরি: ১,৪৩,৬৮৯ টাকা
বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে ৫% ভ্যাট এবং ৬% ন্যূনতম মজুরি যোগ হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মান অনুযায়ী মজুরি ভিন্ন হতে পারে।
সব মিলিয়ে বছরজুড়ে দামের ওঠানামা যেন রেকর্ডই গড়েছে—এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৮৩ বার স্বর্ণের দাম পরিবর্তিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬ বার বেড়েছে, আর কমেছে ২৭ বার। তুলনা করলে দেখা যায়, ২০২৪ সালে পুরো বছরেও মোট ৬২ বার দাম সমন্বয় হয়েছিল—যেখানে বৃদ্ধি ছিল ৩৫ বার, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
চলতি বছরের এ অস্থিরতা তাই আগের বছরের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
এসি//