সকাল হয়ে ওঠার আগেই ঘন কুয়াশার চাদর ঢেকে রেখেছে কুড়িগ্রামের প্রতিটি পথ ও নদীর তীর। হিমেল হাওয়া শহর-গ্রাম জুড়ে ভেসে বেড়াচ্ছে, যেন প্রকৃতি নিজেই জনপদটিকে শান্ত নিঃশ্বাস নিতে বাধা দিচ্ছে। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ।
বিকেল থেকে পরদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত থাকে প্রচন্ড ঠান্ডা। সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ঘন কুয়াশা ও শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমজীবী, চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার ছিন্নমূল মানুষ। শীতজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধরা, ফলে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন প্রতিদিনই কুয়াশা পড়ছে এবং শীত আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার এক ভ্যান চালক জানিয়েছেন, কুয়াশার কারণে রাস্তায় প্রায় কিছু দেখা যায় না। আজ কুয়াশা আরও ঘন হয়ে গেছে, ফলে সড়কে চলাচলে অনেক অসুবিধা হচ্ছে।
একজন স্থানীয় কৃষক জানান, কয়েক দিন ধরে শীত ও কুয়াশা বেড়েছে। এমন প্রচন্ড কুয়াশায় বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে, এবং এতে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বুধবার সকাল ৬টায় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “এখন প্রতিদিনই কুয়াশা পড়ছে। সামনে কুয়াশা ও ঠান্ডা আরও বাড়বে।”
এসি//