নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে মালবাহী জাহাজ ভাড়ায় এনে কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত নজরুল ইসলাম নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরবগুলা গ্রামের ইমানুল হকের ছেলে। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত ১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি শাহাদাতের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে ডাম্ব বার্জ (ডিবি) নামে একটি জাহাজ ভাড়া করে আনা হয়। এজন্য সাত লাখ ২০ হাজার টাকায় এক মাসের চুক্তি হয়। পরবর্তী সময়ে শাহাদাতের নেতৃত্বে মো. জাফর, ইকবাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, এমদাদুল হক, জাফর মিয়া ও হোসেনসহ ১০-১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট কাদিরগঞ্জ এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে এইচবি হারুন অ্যান্ড ব্রাদার্স মেঘনা শিপইয়ার্ডে জাহাজটি কেটে স্টিলের প্লেট বিক্রি করে ফেলেন।
গত রোববার সকালে মোবাইল ফোনে এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে জাহাজ কাটার খবর পান এর মালিক রাকেশ শর্মা। খবর পেয়ে ওই দিন রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহাজ কেটে ফেলার সত্যতা পেয়ে মামলা করেন। মামলায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন জাহাজ মালিক।
জাহাজ মালিক জানান, জিনিসপত্র পরিবহনের জন্য জাফর নামে একজন তাদের সঙ্গে এক মাসের চুক্তিতে জাহাজটি ভাড়া করেন। কিন্তু তার সঙ্গে মিলে সোনারগাঁয়ের বিএনপি নেতার ছেলে শাহাদাত নিজেদের শিপইয়ার্ডে নিয়ে সেটি কেটে বিক্রি করে দেন। বিষয়টি নিয়ে শাহাদাতের বাবা রফিকুল ইসলাম ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েও পরে টালবাহানা শুরু করেন। এজন্য মামলা করেন তিনি।
জানা যায়, মো. জাফর চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জে থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে চট্টগ্রাম থেকে জাহাজ ভাড়া করে দেওয়ার কাজ করেন।
অভিযুক্ত শাহদাতের বাবা ও শিপইয়ার্ডের মালিক বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেনে জাহাজ কাটা বন্ধ রাখা হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপস-মীমাংসার প্রশ্নই আসে না।
আই/এ