আন্তর্জাতিক

লাল-নীল টাইয়ে ট্রাম্প-মামদানির ঐক্যের বার্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হোয়াইট হাউসের গ্ল্যামার আর ফ্ল্যাশলাইটের আলোয় ছাপ ফেলল এক নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়। শুক্রবার (২১ নভ্ম্বের) অনুষ্ঠিত হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। দুই নেতার মধ্যে দীর্ঘদিনের মতবিরোধ থাকায় তাদের এই সাক্ষাৎ ঘিরে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ছিল ব্যাপক আগ্রহ। কিন্তু হোয়াইট হাউসের কক্ষে সেই প্রতীক্ষার মুহূর্তে দুই নেতা হাস্যোজ্জ্বল এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় ছিলেন।

ওভাল অফিসে বৈঠকের সময় ট্রাম্প তার ডেস্কে বসেছিলেন, আর মামদানি পাশে দাঁড়িয়ে দুহাতে হাত জোড়া করেছিলেন। দৃশ্যটি যেন অভিজ্ঞ রাজনীতিকের পাশে দাঁড়ানো তরুণ নেতার প্রতীকী অবস্থানকে ফুটিয়ে তুলেছিল। ট্রাম্পের লাল চওড়া টাই এবং মামদানির নীল সরু টাই দুটি রংই রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দলীয় পরিচয় বহন করে। দুই দলের প্রতীকী উপস্থিতি সত্ত্বেও দুজনের আচরণে ছিল সহযোগিতার মনোভাব।

বৈঠকের আগেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, আলোচনার পরিবেশ অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ হবে। বৈঠক শেষে তার বক্তব্যেও একই সুর শোনা যায়।

ট্রাম্প বলেন, মামদানি ভালো কাজ করলে আমি অবশ্যই খুশি হব। তার এই মন্তব্যকে রাজনৈতিক সমীকরণে একটি নতুন পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেক বিশ্লেষক।

মামদানির সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমি যা ভেবেছিলাম, তার চেয়েও অনেক বেশি বিষয়ে আমরা একমত হতে পেরেছি। এক জায়গায় আমরা একমত- আমরা চাই আমাদের এই প্রিয় শহরটি খুব ভালো থাকুক।

মামদানিও বৈঠকের পর জানিয়েছেন, নিউইয়র্কের স্বার্থে তিনি প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চান।

রাজনৈতিকভাবে পরস্পরবিরোধী দুই নেতার মধ্যে এমন ইতিবাচক সাক্ষাৎ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিয়েছে। এই বৈঠককে দুই নেতার মধ্যে নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার সূচনা না বলা হলেও আগের সম্পর্কের টানাপোড়েন পেছনে ফেলে তারা যে সামনে এগোতে আগ্রহী তা অনুমান করাই যায়।

রাজনৈতিকভাবে পরস্পরবিরোধী দুই নেতার বৈঠকটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় রাজনীতিতে নতুন বার্তা হয়ে উঠেছে। যদিও এটিকে সরাসরি নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার সূচনা বলা যায় না, তবুও আগের টানাপোড়েনকে পেছনে ফেলে তারা যে ভবিষ্যতের দিকে এগোতে প্রস্তুত, সেটাই স্পষ্টভাবে বোঝা গেল। এই সাক্ষাৎ এক ধরনের সংকেত দিয়েছে—দ্বন্দ্বের মধ্যেও সমঝোতার পথ খোলা সম্ভব।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #হোয়াইট হাউস #প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প #মেয়র জোহরান মামদানি #নিউইয়র্ক