জুলাই–আগস্টে সংঘটিত একাধিক হত্যা মামলার আসামি,কার্যক্রম নিষিদ্ধ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার অনুমোদিত মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) হেলাল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক। কিন্তু তাঁর অনুপস্থিতিতে থেমে নেই অফিসের কার্যক্রম। বরং তাঁর নাম ব্যবহার করে এবং স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ইব্রাহিম ও শাহদত নামে দুই ব্যক্তি অবৈধভাবে বিয়ে নিবন্ধন করে চলেছেন। এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে ইব্রাহিম অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, “এইগুলা কোন ঘটনা না। আমরা বিয়ে রেজিস্ট্রি করি—তাতে কি হয়েছে?”
অন্যদিকে শাহদত বলেন, “অন্য কাজিরা এভাবেই করে, আমরাও করি।” হেলাল উদ্দিন পলাতক থাকা অবস্থায় কীভাবে বিয়ে নিবন্ধন চলছে—জানতে চাইলে তিনি দাম্ভিক ভঙ্গিতে বলেন, “আমরাই করছি, এতে সমস্যা কী?”
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মূল কাজির জায়গায় বসে অন্যরা কাবিননামায় স্বাক্ষর করে বিবাহ নিবন্ধন সম্পন্ন করছেন। এতে এসব দম্পতির বিবাহের আইনি বৈধতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আইন অনুযায়ী এসব কার্যক্রম সম্পূর্ণ বেআইনি। ভবিষ্যতে এসব দম্পতির সন্তানদের পরিচয়, উত্তরাধিকারসহ নানা আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে।
মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪–এর ধারা ৫ ও ৬ অনুযায়ী, কেবলমাত্র সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নিকাহ রেজিস্ট্রারই বিবাহ নিবন্ধন করতে পারবেন। তাঁর স্থানে অন্য কারও স্বাক্ষর বা নথিভুক্তি আইনত অবৈধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। ধারা ৭–এ উল্লেখ রয়েছে, অনুমোদনবিহীন ব্যক্তি বিবাহ নিবন্ধনে যুক্ত হলে তাঁর বিরুদ্ধে জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার শরীফ তোরাফ হোসেন বলেন,এখন পর্যন্ত আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আই/এ