গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, দেশ এখন নির্বাচনী ট্রেনে চলতে শুরু করেছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা দীর্ঘদিন জেল-জুলুম সহ্য করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন চালিয়েছে। আগামী নির্বাচনে যে দলই বিজয়ী হোক, আমরা জাতীয় সরকার গঠনের জন্য কাজ করছি। এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারম্যান তারেক রহমানও আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছেন।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য নষ্ট হলে আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ পুনরায় ফেরার শঙ্কা তৈরি হবে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদসহ যে সকল দল অংশ নিয়েছিল, তাদের ঐক্যের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ঝিনাইদহ ২ আসনে যিনি নির্বাচনে অংশ নিন না কেন, তার জন্য শুভকামনা থাকবে। প্রত্যেকটি দল তাদের রাজনীতি নিজস্বভাবে চালাক। কেউ যেন অন্য দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি না করে। এতে সংঘাত তৈরি হতে পারে, যা ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তিগুলোর ঐক্য নষ্ট করে আওয়ামী লীগের ফেরার পথ সহজ করবে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যুগপৎ আন্দোলনের সহযোদ্ধাদের জন্য বিএনপি তাদের নীতি অনুসরণ করেছে। ঝিনাইদহ-২ আসনে বিএনপি কোন প্রার্থী দেয়নি। তবে বিএনপি এখনো তাকে চূড়ান্ত সমর্থন দেয়নি। এ বিষয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন ও দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
আই/এ