দেশজুড়ে

মহেশখালী জেটিঘাটে ভোগান্তিতে পর্যটক-পূজারীরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে আবারও দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। প্রভাবশালী ইজারাদার চক্রের বাধায় কক্সবাজার থেকে সরাসরি মহেশখালীর আদিনাথ জেটিঘাটে ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে একদিকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটক ও পূজারীরা, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে। বড় অঙ্কের রাজস্ব। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কক্সবাজার জেটিঘাট তদারকি করলেও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী ৬ নম্বর জেটিঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কক্সবাজার থেকে আদিনাথগামী ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

আগে এই ঘাট থেকেই নিয়মিত ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করত। কিন্তু হঠাৎ শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে এ রুটে ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে কক্সবাজার থেকে গোরকঘাটা পর্যন্ত ট্রলার চললেও আদিনাথ মন্দিরগামী দর্শনার্থীদের ঘুরপথে যেতে হচ্ছে, এতে সময় ও অর্থ—দুটোই নষ্ট হচ্ছে।

যাত্রীরা জানান, কক্সবাজার ৬ নম্বর ঘাট থেকে আদিনাথ ঘাটে যেতে কোনো টোল দিতে হয় না। কিন্তু মহেশখালী ঘাটে প্রতিজনের কাছ থেকে ২০ টাকা করে টোল আদায় করা হয়। এ রাজস্ব হারাতে না দিতেই ইজারাদাররা সরাসরি রুটটি বন্ধের পাঁয়তারা করছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ‘সরকারি অনুমোদিত রুট থাকা সত্ত্বেও ইজারাদাররা যাত্রীদের ঘুরিয়ে নিচ্ছে। এতে আমাদের ভোগান্তি বাড়ছে, আর তারা অবৈধভাবে টাকা তুলছে।’

বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক ওয়াকিল আহমেদ বলেন, ‘পর্যটক ও পূজারীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার। কক্সবাজার থেকে আদিনাথ জেটিঘাটে সরাসরি যাতায়াত বন্ধের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, ‘যারা অনিয়ম করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

স্থানীয় পূজারী ও পর্যটকরা বলেন, ইজারাদারদের চাঁদাবাজি ও দৌরাত্ম্যের কারণে নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। এর ফলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানও ব্যাহত হচ্ছে। তারা দ্রুত এই চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #কক্সবাজার #মহেশখালী #জেটিঘাট