কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে এক রোহিঙ্গা গৃহশিক্ষক। পরে পুলিশ উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে। তবে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক এখনও পলাতক।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার।
পরিবার জানায়, শিশুটি নিয়মিত ওই গৃহশিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যেত। গেল মঙ্গলবার বিকেলে পড়তে গিয়ে আর বাসায় ফেরেনি। সন্ধ্যায় খোঁজ নিতে গিয়ে শিশুটির মা দেখেন শিক্ষকের বাসায় তালা ঝুলছে। ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি।
পরদিন বুধবার সকালে শিশুটির বাবার কাছে একটি কল আসে। ফোনে মেয়েকে ফেরত পেতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। বাবার অভিযোগ, কলটি করেছিলেন গৃহশিক্ষক মোহাম্মদ মুজিব, যিনি ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং পরে জানা যায় তিনি রোহিঙ্গা।
পুলিশ জানায়, মুক্তিপণের জন্য দেওয়া বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শিশুটিকে শনাক্ত করে। এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল বুধবার সন্ধ্যায় কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এসআই জাকির হোসেন জানান, গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে শিশুটিকে চকরিয়া থানায় আনা হয়। অপহরণকারী রোহিঙ্গা যুবককে ধরতে অভিযান চলছে।
চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ঘটনাটির পর শিশুটির বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অপহরণকারীকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
আই/এ