পাহাড়ে নারী নিপীড়ন বন্ধ ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে পালিত হয়েছে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ। শেষ বিকালে অবরোধকারী ও স্থানীয়দের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে উত্তপ্ত হয়েছে জেলা শহর।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) শহরের খেজুরবাগান, উপজেলা পরিষদ এলাকা, চেঙ্গী স্কয়ার, মহাজনপাড়া ও নারিকেল বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাশাপাশি ৭ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলার আশপাশে এবং গুইমারা উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
সকাল থেকে হরতালের সমর্থনে জেলার বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে, গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অবরোধকারীদের ভাঙচুরের হাত থেকে বাদ যায়নি লাশ পরিবহন করা অ্যাম্বুলেন্সও।
খাগড়াছড়ির আলুটিলা পুনর্বাসন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে আসা লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর ও চালককে পিটিয়ে আহত করে অবরোধকারীরা। দুপুর ১টার দিকে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ ও উপজেলা পরিষদ এলাকায় উত্তেজিত পাহাড়ি ও বাঙালিদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সাজেকে আটকা পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শতাধিক পর্যটককে সেনাবাহিনী, বিজিবি নিরাপত্তা দিয়ে খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলা পার করে খাগড়াছড়ি নিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত পর্যটকরা খাগড়াছড়িই আছেন। পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে রাতে বা আগামীকাল (রবিবার) তাদেরকে নিজ নিজ গন্তব্যে নেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়িতে এক মারমা স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে ‘জুম্ম ছাত্র জনতা’র সকাল-সন্ধ্যা শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবরোধ ডাক দেয়।
আই/এ