আন্তর্জাতিক

উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি সিনেমা দেখলেই মৃত্যুদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি সিনেমা বা ওয়েবসিরিজ দেখার মতো কাজকে মৃত্যুদণ্ডের যোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমন কড়াকড়ি আইন দেশটিতে বহু বছর ধরে বলবৎ রয়েছে।

জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া অন্যান্য দেশের তুলনায় প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। দেশটির আইন-কানুনও অনন্য—বেশ কয়েক বছর ধরেই বিদেশি বিনোদন সামগ্রী দেখার দায়ে নাগরিকদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফোলকার টুর্ক এক সতর্কবার্তায় বলেছেন, উত্তর কোরিয়ায় এভাবে চলতে থাকলে সেখানকার মানুষদের পরিণতি আরও খারাপের দিকে যাবে; দীর্ঘদিন ধরে যে নিপীড়ন সহ্য করে আসছিল, তার বাড়তেই থাকবে।

 বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে গত ১০ বছরে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা ৩০০-রও বেশি মানুষের বিবৃতির ভিত্তিতে। ২০১৯ সালের পর পালিয়ে আসা লোকেরা জানান, ২০২০ সাল থেকে বিদেশি কনটেন্ট বিতরণের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সংখ্যা বেড়ে গেছে। তারা বলেন, এসব মৃত্যুদণ্ড জনসমক্ষে গুলি করে কার্যকর করা হয়, যাতে জনগণের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হয় এবং কেউ আইন ভঙ্গ না করে।

 প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের পর থেকে অন্তত ছয়টি নতুন আইন চালু হয়েছে, যেখানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো— বিদেশি চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজের মতো কনটেন্ট দেখা বা শেয়ার করা। এর কারণ, কিম জং উনের লক্ষ্য, জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির পথ যতটা সম্ভব, তা কঠোরভাবে সীমিত করে দেয়া।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #উত্তর কোরিয়া #বিদেশি সিনেমা #মৃত্যুদণ্ড