কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের পর এবার সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে সাগর থেকে আবারও ৭ জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। বুধবার (২৭ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপসংলগ্ন ‘সীতা’ নামক এলাকা থেকে একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ কাযুকখালীয়া ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমদ।
তিনি জানান, অপহৃত ট্রলারটির মালিক টেকনাফ পৌরসভার কাযুকখালীযাপাড়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে নুরুল কায়সার। ট্রলারটিতে মাঝিসহ মোট ৭ জন জেলে ছিলেন।
সাজেদ আহমদ বলেন, ট্রলারের মাঝি দিল মোহাম্মদ মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, জেলেরা জাল ফেলতে ব্যস্ত থাকাকালে স্পিডবোট নিয়ে আরাকান আর্মির সদস্যরা বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করে। তারা একাধিক নৌযানকে ধাওয়া দিয়ে একটি ট্রলারসহ ৭ জেলেকে ধরে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যায়।
ট্রলার মালিক নুরুল কায়সার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে ট্রলারটি তৈরি করেছিলাম। আরাকান আর্মি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রলারসহ জেলেদের নিয়ে গেছে। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, তাদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।
এ দিকে, জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, প্রায় প্রতিদিন আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশি জেলেদের অপহরণ করছে। শুধু গত চার দিনেই সাতটি ট্রলারসহ ৫১ জন জেলে ধরে নিয়ে গেছে তারা।
ট্রলার মালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী, গেল বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অন্তত ২৬২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে ও ২৭টি নৌযান ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।