ভারতের দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার থালাপতি বিজয় সম্প্রতি রাজনীতিতে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। গেল শুক্রবার (২২ আগস্ট) তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রায় ৪ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকে ‘আদর্শিক শত্রু’ হিসেবে আক্রমণ করেন।
তার বক্তব্যগুলি সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়ে ওঠে। যেখানে তিনি বলেন, “জঙ্গলে সিংহ একা হলেও তার শক্তি কখনো কমবে না।”
বিজয় তামিলনাড়ুর বিজেপি ও ডিএমকে এর বিরুদ্ধে একত্রে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “তামিলগা ভেট্রি কাজাগাম কাউকে ভয় পায় না। কেননা পুরো তামিলনাড়ু আমাদের পাশে রয়েছে।”
বিজয়ের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনেকটাই স্পষ্ট তার অবস্থান। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, এনইইটি, এবং পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি-এর বিরুদ্ধে তিনি বারবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রমজান মাসে মুসলিমদের সঙ্গে ইফতারও করেছেন যা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়ের উপস্থিতি ডিএমকে-এর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। তার দল ‘তামিলগা ভেট্রি কাজাগাম’-এর মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক মঞ্চে দৃঢ়ভাবে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন।
উল্লেখ্য, বিজয়ের ‘লিও’, ‘মার্শাল’, ‘সরকার’, ‘থেরি’ সিনেমাগুলির ব্যবসাসফলতা তাকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে তুলেছে। তার চলচ্চিত্রিক জনপ্রিয়তা তার রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি করেছে যা তাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পরিচিত করে তুলছে। এছাড়া ২০২১ সালে তার ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা ‘বিজয় মাক্কাল ইয়াক্কালাম’ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করে এবং মাত্র কিছু মাসের মধ্যে দলের প্রার্থীরা ১৬৯ আসনের মধ্যে ১১৫টি আসনে জয়লাভ করে। এরপর থেকেই তার রাজনীতিতে যোগদানের গুঞ্জন আরও তীব্র হয় এবং ২০২৪ সালে তামিলগা ভেট্রি কাজাগাম গঠন করেন।
এসকে//